way to reduce physical weakness: শারীরিক দুর্বলতা কাটানোর উপায় কি ?

শারীরিক দুর্বলতা একটি সাধারণ কারণ যে প্রত্যেক ব্যাক্তি কে কখনো প্রভাবিত করে। তবে এটি সাধারণ ততক্ষন থাকে যতক্ষণ একটি নিদিষ্ট মাত্রায় প্রভাবিত করে , যখন এটি শরীরের মধ্যে হেভি হয়ে দাঁড়ায় তখনি নানান সমস্যার সৃষ্টি করে , তাই আজকের এই নিবন্ধ তে আমরা জানতে পারবো যে কি করে শরীরের দুর্বলতা কাটানো যায়।

দুর্বলতা কে কাটানোর আগে আমাদের জানতে হবে শরীর দুর্বলতার কারণ কি ? সামান্য দুর্বলতা সবার মধ্যে থাকলেও দুর্বলতার কারণ কিন্তু সবার মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন হয়। দুর্বলতা নানান বিভিন্ন কারণে হয় নিচে তাদের মধ্যে কিছু কারণ বলা আছে

way to reduce physical weakness: শারীরিক দুর্বলতা কাটানোর উপায় কি ?
way to reduce physical weakness: শারীরিক দুর্বলতা কাটানোর উপায় কি ?

শারীরিক দুর্বলতার কারণ কি?

১. শরীরে ভিটামিন D ও ভিটামিন B এর অভাব।
২. পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব বা অতিরিক্ত ঘুম এর কারণে শরীরে দুর্বলতা হয়।
৩. ব্লাড প্রেসার কমে গেলে।
৪. দীর্ঘ সময় ধরে কোনো নিদিষ্ট ওষধ সেবন।
৫. প্রোটিন যুক্ত খাবার না খাওয়া।
৬. কোনো কারণে অতিরিক্ত চিন্তা করা।
৭. বিভিন্ন নেশাতে আসক্ত হয়ে পড়া

ইত্যাদি কারণে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে তবে এই দুর্বলতা শরীরের মধ্যে জিরিয়ে না রেখে এর বিরুদ্ধে নিদিষ্ট কিছু ক্রিয়া কালাপ করা উচিত। দুর্বলতা কাটানোর জন্য যে সমস্ত কাজ গুলি করা উচিত।

শারীরিক দুর্বলতা কাটানোর উপায়।

ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার গ্রহণ ,

ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার গ্রহণ: দুর্বলতার সব থেকে কারণ হলো পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার না খাওয়া এটির জন্য সবার আগে একটি ভালো খাবারের ডায়েট চ্যাট তৈরি করতে হবে কিছু গুরুত্ব পূর্ণ ভিটামিন ,ক্যালসিয়াম ,প্রোটিন যুক্ত খাবার এর সাথে যুক্ত করতে হবে।
যেমন: দুধ, দই, ঘি, ডিম্, ছোট মাছ, মাংস, পনির, কলা, আপেল, কমলা,
সবজি ,পালক শাক, মেথি শাক, পেঁপে, করলা ইত্যাদি আরো নানান প্রকারের খাবার রয়েছে এই তালিকায়। তবে প্রজন মতো গ্রহণ করা উচিত।

shikhoree.com_
ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার গ্রহণ ,
পর্যাপ্ত ঘুম নিন

শুধু ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবারের অভাবেই নয় দুর্বলতার আরো একটি মূল কারণ হলো পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া। আসলে আমরা বর্তমানে প্রতিটা সময়ে কোনো না কোনো গেজেট ব্যবহার করে চলেছি ( মোবাইল, ল্যাপটপ ,টেলিভিশন ) ফলে আমাদের মাইন্ড এইগুলির প্রতি আসক্ত হয়ে যাচ্ছে এবং আমরা এগুলির পেছনে আরো বেশি করে সময় ব্যায় করে চলেছি ,এটি ঘুম কম হওয়ার সবথেকে বড়ো কারণ।

এটি শারীরিক ও মানসিক দুই দিক থেকেই আপনাকে দুর্বল করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে, মানসিক দিক থেকে আপনি নিজের অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলতে পারেন তাই নিজের প্রতি যত্ন নিন এবং দিনে ৭-৮ ঘন্টা শরীর কে একটা ভালো ঘুম দিন। তবে মানসিক এবং শারীরিক দুই দিক থেকে অনেকটা আরাম পাবেন।

আরো পড়ুন: দ্রুত ঘুমানোর উপায়। রাতে ঘুম না হলে করনীয়।

খারাপ অভ্যাস এর পরিবর্তন করুন

শরীর দুর্বলতার পেছনে আমাদের কিছু খারাপ অভ্যাস এর অবদান থাকে। যেগুলি আমরা প্রতিদিন করে চলেছি। যেমনঃ মদ পান, ধূমপান, বিভিন্ন নেশা জাতীয় পদার্থের ব্যবহার কম করতে হবে। অযথা বেশি করে টেনশন করা বন্ধ করতে হবে। শরীরের অলসতা কাটানোর জন্য কোনো পরিশ্রম করতে হবে। খেলাধুলাও করতে পারেন

যোগ-অভ্যাস করুন

দুর্বলতা কাটানোর সহজ উপায় হলো যোগ আসন। কিছু নিদিষ্ট প্রকারের যোগ আসন আছে যেগুলি নিয়ম মতো করলে শরীরের ও মানসিক দুর্বলতা দিক থেকে আরাম পেতে পারেন ও নিজেকে আরো ভালো এবং সুস্থ রাখতে পারবেন।

সকালে তাড়াতাড়ি বিছানা ত্যাগ করুন

সকালে ঘুম থকে একটু তাড়াতাড়ি ওঠার চেষ্টা করুন। সকালের তাজা ঠান্ডা আবহাওয়া শরীর কে শীতল, ও সতেজ করে তোলে। মনের মধ্যে কৌতূহল বাড়িয়ে তোলে , যা আপনার মানসিক শক্তি কে ভীষণ ভাবে বাড়িয়ে তোলে, আপনি নিজেই একটি সার্ভে করে দেখতে পারেন যে যারা রোজ সকালে তাড়াতাড়ি বিছানা ছাড়ে তারা সারা দিন বেশ জোসের সাথে নিজের সব কাজ শেষ করে ফেলে। ও মানসিক দিক থেকেও দৃঢ় হয়। যারা দেরি করে ওঠে তারা আরো বেশি অলসতা বোধ করে।

যখন এর কাজ তখনি করুন

নিজের কাজ তাড়াতাড়ি শেষ করে ফেলার সংকল্প নিয়ে নিন। প্রায় আমরা কোনো কাজকে পরে করবো বলে ফেলে রেখে দিয়ে শুয়ে, বসে সময় কাটাই ,এটি ধীরে ধীরে আপনার একটি খারাপ অভ্যাসে পরিবর্তন হতে পারে। ও এক সময়ে অনেকগুলি কাজ আপনাকে দুর্বল মনে করাতে পারে তাই যখন এর কাজ তখই করুন ,কাজ শেষ করে বিশ্রাম করুন।

আরো পড়ুন : স্মার্ট হওয়ার উপায় কী?

শারীরিক দুর্বলতা কোন কোন রোগের লক্ষণ হতে পারে ?

ক্রমিক লিভার রোগ : মদ পান এবং জন্ডিস লিভার রোগের কারণ। চিন্তাশক্তি ঘোলাটে হওয়া, রক্ত বমি হওয়া, নিয়মিত অবসাদ বোধ এবং পা ও ফেট ফুলে যাওয়ার উপসর্গ দেখা দেয়। মদ্য পান ছেড়ে দিয়ে আমিষ, শর্করা ও ভিটামিন প্রধান খাবার খেলে এই রোগের দুর্বলতা কাটানো যায়।

কিডনির রোগ : কিডনির প্রধান কাজ শরীর থেকে প্রসাবের মাধ্যমে বিষাক্ত ও বর্জ্য পদার্থ বের করে দেওয়া। তাই কিডনির কোনো সমস্যা হলে শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ গুলি সম্পূর্ণ ভাবে বের করতে পারেনা। তখন অবসাদ বা দুর্বলতার উপসর্গ গুলি দেখা দেয়। এই অবস্থায় সবার আগে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

হার্টের সমস্যা : হার্টের প্রধান কারণ হলো সমস্ত শরীরে সিঁথিকে ভাবে রক্ত পরিচালনা করা। কিন্তু যদি হার্টের কোনো রকম সমস্যা হয় তখন সম্পূর্ণ ভাবে শরীরে রক্ত সঞ্চালন না হওয়ার কারণে শরীরের সমস্ত শক্তি হারিয়ে যায়। এবং শরীর শুন্য হতে থাকে যার ফলে হাঁপানি, মিরগি, মাথাঘোরানো, আরো ইত্যাদি রকমের শরীর দুর্বলতার লক্ষণ দেখা যায়।

ডায়াবেটিস : দুর্বলতার আরেকটি প্রধান কারণ ডায়াবেটিস। প্রসাবের সঙ্গে সুগার বের হয়ে যাওয়ায় দুর্বলতা দেখা দেয়। ডায়াবেটিসের কারণে হার্ট, কিডনি এবং দৃষ্টির জটিলতা দেখা দেয়। নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন ও ব্যায়াম করুন।

ছাড়াও ডায়রিয়া, হিমোগ্লোবিন কম, লিভারের সমস্যা, মেয়েদের প্রেগনেসি, মাসিক পিরিয়ড, ইত্যাদি কারণেও শরীর দুর্বল হয়ে থাকে তাই আপনার শারীরিক দুর্বলতা সাধারণ দুর্বলতা নাকি শারীরিক কোনো সমস্যার কারণে সেটি অবশই কোনো চিৎসকের থেকে জেনে নেওয়া আবশ্যক। যদি কোনো শারীরিক সমস্যা না হয়ে থাকে তবে ওপরের নিয়ম গুলি পালন করে নিজের শারীরিক দুর্বলতা কমাতে পারেন।

আরো পড়ুন: চূড়ান্ত গরম কালে শরীর ঠান্ডা রাখার উপায়।

আরো পড়ুন: ঝুলে যাওয়া স্তনকে আগের মতো টাইট করে তুলুন ঘরোয়া উপায়ে।

Leave a Comment