ভালো মেয়ে চেনার সবথেকে সহজ উপায়।

বাংলায় একটা কথা আছে প্রত্যেক ব্যাক্তির সফলতার পেছনে এক জন নারীর হাত থাকে। এই কথাটা কতটা বাস্তব এখানে জানার বিষয়। ভালো মেয়ে চেনার সবথেকে সহজ উপায় হলো তার বিষয়ে অনেক কিছু জানতে হবে। মেয়ে মনের দিক থেকে কেমন, মেয়ের চাল চলন কেমন ,পরিবেশ কেমন।

নারী হলো ঈশ্বরের এমন এক শক্তি যা সেই আদি কাল থেকে থেকে আজ পযন্ত কোনো মানুষ কেন কোনো দেবতারাও যাদের বুঝে উঠতে পারিনি। রাম কালের কৈশলা দেবী ও সীতা দেবী । মহাভারত কালের মাতা দৌপ্রদী রানী। যাদের কারণে কত মহান ধর্ম যুদ্ধ হলো।। আমাদের জানতে হবে নারী মানে মা।নারী মানে বোন / দিদি। নারী মানে মা দূর্গা। আবার নারী মানে স্ত্রী। তাই কখনো নারী কে অসম্মান করা যাবে না। নারী যদি চায় তবে পুরুষের জীবন সাজিয়ে গুছিয়ে একটা সুন্দর বাগানের রূপ দিতে পারে ,আবার নারী চায় তবে পুরুষের জীবনকে প্রাণহীন মরুভুমি বানাতে পারে। তাই মহান পন্ডিত চাণক্য এর মতে নিজের জীবনে কোনো নারী কে সঙ্গিনী হিসেবে স্থান দেয়ার আগে অবশই কিছু বিষয় দেখে নেওয়া ভালো।

ভালো মেয়ে চেনার সবথেকে সহজ উপায় গুলি হলো

সব ছেলে চায় একজন ভালো নারী / মেয়ে তার জীবনে আসুক। কিন্তু কি করে বোঝা যাবে যে কোন নারী কার জন্য ঠিক, সব পুরুষের মনে মনে নারীকে নিয়ে আলাদা আকাঙ্খা আছে। যে সব আকাঙ্খা পুরুষের মনে জাগে তা বেশির ভাগ নৈতিক ভাবনা হয় সেই আকাঙ্খা ঠিক নয়।

এমন কিছু বিষয় যা নারীর মধ্যে থাকা আবশ্যক, তবেই একজন নারী তার অন্তর থেকে সুন্দর হয়। এবং সে যেই পুরুষের সঙ্গী হবে পুরুষের জীবন ও সুন্দর করে তুলবে।

যেই সব ভালো গুন্ গুলো মেয়ের মধ্যে থাকা অত্যান্ত জরুরি।

ধর্য্য :- যে স্ত্রী আপনি আপনার মনে জায়গা এবং জীবনে স্থান দেবেন সেই নারীর মধ্যে ধর্য্য অবশই থাকতে হবে। এমন নারী যার মধ্যে ধর্য্য নাই সে কখনোই কোনো পুরুষের সঠিক সঙ্গিনী হতে পারেনা। ধর্য্য মানুষ কে সঠিক পথ দেখায়। নারীকে ধর্য্যের সাথে প্রত্যেকে মানিয়ে চলে উচিত। সাংসারিক জীবনে অনেক রকম ঘটনা ঘটে যা নারী কে সামলে নিতে হয়। একমাত্র নারীই পারে এক পরিবার কে সাজিয়ে সব রকম সুখ ও আনন্দ দিতে।

শহন সিলতা :- সহ্য শক্তি প্রত্যেক মানুষের জন্য দরকার। সহ্য শক্তি যদি নারীর মধ্যে থাকে সে সব কিছু করতে পারে। যেমন করে কয়লা থেকে হিরে উৎপন্ন হয়। সেরম নারী চাইলেই সংসার কে স্বর্গ বানিয়ে দিতে পারে

দয়া :- একজন মেয়ের মধ্যে দয়া ঔষধের মতো কাজ করে। দয়া মেয়েকে একজন ভালো মা ও একজন আদর্শবান স্ত্রী করে তোলে। যে নারীর মধ্যে দয়া নাই সে কখনোই ভালো মা ও স্ত্রী হতে পারে না। এমন মেয়ের থেকে দূরে থাকা উচিত। এই গুন্ গুলি ভালো মেয়ে চেনার সবথেকে সহজ উপায় এর মধ্যে উলেখযোগ্য

যেই সব গুন মেয়েদের মধ্যে না থাকা ভালো।

লোভ :- লোভ মানুষ কে জীবনের সবথেকে খারাপ পর্যায়ে নিয়ে যায়। সেটা যদি নারীর মধ্যে হয় তো সংসার কে সবথেকে ভয়ঙ্কর পর্যায়ে নিয়ে যাবে। যে নারীর মধ্যে লোভ কম সে খুব সহজে পরিবার কে উন্নতির দিকে নিয়ে যায়। সেই নারীকে সংসারের দেবী বলা যেতে পারে।

অহংকার :- কোনো মানুষের মধ্যে অহংকার থাকা উচিত নয়। অহংকার মানুষকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। তাই নারী যদি কোনো বিষয়ে অতিরিক্ত অহংকার করে তবে সে ও সংসার কে ধংসের দিকে নিয়ে যাবে তার কোনো সন্দেহ নাই।

রাগ :– রাগ প্রত্যেক মানুষ কেই খারাপ পথে নিয়ে যায়। কোনো সঠিক সিদ্ধান্ত রাগের সময়ে নেওয়া যায় না। এই বিষয় টা মেয়েদের ক্ষেত্রেই একই। তাই যে মেয়ের শরীরে বেশি রাগ সে সঠিক ভাবে মানেজ করে তার পরিবার কে পরিচালন করতে পারবে না।

বাইরে থেকে দেখে ভালো মেয়ে চেনার সবথেকে সহজ উপায়।

পোশাক : বর্তমান সময়ে মেয়েরা তাদের নিজস্ব স্বাধীনতা পেয়েছে। তাই fashion র নাম করে বিভিন্ন ধরণের আঁক ভঙ্গির পোশাক পরে থাকে। তবুও সেই পোশাক এর একটা তারতম্য থাকে যেমন পোশাক পরে সে তার গুরুজনের কাছে এসে দাঁড়ালে কেউ লজ্জা বোধ করবে না এমন পোশাক পরা উচিত। যে মেয়ের মধ্যে এইরকম উচ ভাবনা থাকে এমন মেয়ে সমাজের জন্য ঠিক। আর যে মেয়ে এই সব ভাবনা না ভেবে নিজের খেয়াল খুশি মতো নিম্ন মানের পোশাক পরে নিজের শরীর দেখিয়ে বেড়ায় তেমন মেয়ে কারোর মাথা উঁচু করতে পারেনা। এমন মেয়ের থেকে দূরে থাকা উচিত।

চাল চলন :- মেয়েদের মধ্যে একটা আলাদা বিষয় আছে যেটা হলো তার চাল চলন যে পুরুষের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। চাল চলন বলতে তার ব্যবহার ,যেকোনো স্বাভাবিক বিষয়ে সে রকম ব্যবহার ব্যবহার করে। গুরুজনের প্রতি কতটা সম্মান আর ছোটোদের প্রতি কতটা ভালোবাসা তার মনের মধ্যে আছে।

সব শেষে : মেয়েরা হলো পুরুষের মেরুদন্ড। প্রত্যেক মানুষকে একজন নারী জন্ম দিয়ে পালন করে বোরো করে। তাই কখনোই মেয়েদের ভালো মন্দ বিচার করে তাদের ছোট করবেন না। এবং এখানে লেখা সব গুন্ একমেয়ের মধ্যে আসা করবেন না। সবার মধ্যেই কিছু না কিছু গুন্ আছে আবার সবার মধ্যে কিছু না কিছু দোষ আছে সবাই সবাইকে মানিয়ে নিয়ে চলতে পারলেই জীবন সুখের হয়ে উঠবে। এই লিখনের উদ্দেশ হলো যা যা খারাপ গুন্ আছে সে গুলো ত্যাগ করে যা ভালো গুন্ আছে তা পড়ে নিজের জীবনে সেই সব গুনের বিকাশ ঘটানো।

আরো পড়ুন :- কোন সময়ে করা বিয়ে উচিত সম্পূর্ণ তথ্য।