সমবয়সী বিয়ের সুবিধা ও অসুবিধা।- same age marriage problem in bengali .

বর্তমান সময়ে ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে সমবয়সী বিয়ের প্রবণতা বেশি পাচ্ছে ,তার কারণ হলো স্কুল ও কলেজ থেকে একে অপরের হাত ধরে চলা জীবন শুরু হয়ে যায়। নানান স্বপ্ন দেখে একে অপরকে নিয়ে। পরে একটু নিজের দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই বিয়ের পিঁড়িতে বসে পড়ে। না হলে কাজের জায়গায় একে অপরকে পছন্দ করে বিয়ে করে ফেলে কিছু না ভেবেই।
তবে স্কুল কলেজ হোক আর অফিস সমবয়সী বিয়ের সুফল কুফল প্রায় সবাই কেই ভোগ করতে হয়।

সমবয়সী বিয়ের সুবিধা ও অসুবিধা।
সমবয়সী বিয়ের সুবিধা ও অসুবিধা।- same age marriage problem in bengali .

সমবয়সী বিয়ের সমন্ধে কিছু ভালো বিষয়।

১ – সমবয়সী বিয়ে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রেম বিবাহ হয়ে থাকে ,তাই সবাই নিজের মনের মতো মানুষ পেয়ে প্রথমে খুশি থাকে। দুই জনের বয়স প্রায় সমান হওয়ায় সময়ের সাথে একসঙ্গে এগিয়েও যেতে থাকে ,ও নিজেরাই নিজেদেড় ভালো মন্দ বিবিচার করতে পারে।

২ – সমবয়সী সম্পর্কে একে ওপরের সাথে সহজেই বন্ধুর মতো মিশে যেতে পারে তাই যেকোনো কথা ও গোপন বিষয় আলোচনা করতে সমস্যা হয়না। অনেকে স্ত্রী বা স্বামী কে বন্ধু হিসেবে পেতে চায় তাদের জন্য এটা বেস্ট অপশান।

৩ – একে অপরকে বোঝাতে বেশি কাঠ খড় পড়াতে হয়না ,অল্পতে একে ওপরের মাইন্ড বুঝে উঠতে পারে। একে ওপরের সাপোর্ট সিস্টেম হিসাবে কাজ করে।

৪ – ডাক্তার এর মতে সমবয়সী বিয়ের পর স্বামী ও স্ত্রী মধ্যে যৌন ক্ষমতা মধ্স্ক বয়স পযন্ত হ্রাস পায়না। তাই কিছুটা জীবন তো বেশ ভালোই কাটে।
এই হলো কিছু ভালো ব্যাপার ,কিন্তু সমবয়সী বিয়ে তে ভালো বিষয়ের থেকে খারাপ দিক গুলোই বেশি মাথা চাড়া দিয়ে উঠে যার ফলে বেশির ভাগ সমবয়সী বিয়ে খুব কম সময়ে শেষ হয়ে যায় ,বেশি দিন টেকেনা।

কিছু খারাপ বিষয়। some bad thing .

১ – পারস্পরিক শ্রদ্ধা বোধ , স্বামী স্ত্রী একসাথে থাকতে গেলে একে ওপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকা দরকার। সমবয়সী দম্পতি দের ক্ষেত্রে এই ব্যাপার টাতে একটু ঘাটতি দেখা যায় , দুই জনের বয়সে বিশেষ পার্থক্য না থাকায় কাউকে কারো ছোট মনে করেনা ,একটা ডোন্ট কেয়ার ভাব চলে আসে আসে কিছু দিন পর। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই ঘটনা ঘটে থাকে ও অনেকের এটি ভালো লাগেনা।

২ – কলহ অভিজ্ঞ দের মতে সমবয়সী সম্পর্কে কলহ লেগেই থাকে। যার কারণ হিসেবে বলা হয় যে দুই জনের বয়স সমান সমান হওয়ার কারণে কেউ কাউকে ভয় পায়না ও কোনো বিষয়ে কেউ কাউকে ছাড় দেয়না, যার জন্য ছোট বড়ো সব বিষয়ে যে কোনো এক জনের ভালো না লাগলে কলহ হতে শুরু করে। যদি দুই জনের এক জনের মধ্যে যদি ম্যানেজ করার ক্ষমতা থাকে তবে এর থেকে স্বস্তি পাওয়া যেতে পারে।

৩ – পরিপক্কতা ,সাধারণত ছেলেদের থেকে মেয়েদের পরিপক্কতা আগে হয়ে যায়। তাই সমবয়স্ক সম্পর্কে পূর্ণবয়স্ক মেয়ের কাছে ছেলেকে ভাতৃতূল্য মনে হয়। তাই মেয়েরা স্বাভাবিক ভাবে আগে পূর্ণতা পাওয়ায় সাংসারিক সব কিছু একটু আগে বুঝে যায় ,কিন্তু ,ছেলেদের একটু বেশি সময় লাগে সাংসারিক জীবনযাপনে সব কিছু মাথায় ডুকাতে সিরিয়াস ভাবে । এই কারণে ও নানান গন্ডগোল হতে থাকে।

৪ – বয়সের পার , সমবয়স্ক দের মধ্যে আর একটা বড়ো সমস্যা হলো বুড়িয়ে যাওয়া। যা ৪০-৪৫ বছরের মধ্যে দেখা যায় পুরুষের থেকে নারীদের গড় আয়ু বেশি হলেও পুরুষের আগে নারীদের বয়স্ক মানিয়ে যায়। যেহেতু নারীরা পুরুষের আগে পরিপক্ক হয়ে ওঠে ,তাই তাড়াতাড়ি বুড়িয়ে যায় যাকে বলা মুখে চোখে বয়স্কের ছাপ পরে যায়। যার আর একটা কারণ হলো নারীরা সন্তান জন্ম দেওয়ার পর একটু বেশি mature মনে হয়। এই বিষয় তা সব পুরুষ এর ভালো না লাগতে পারে।

৫ – যৌনতার হ্রাস, সাধারণত ৪৫-বছর পর নারীদের যৌন ক্ষমতা কমতে থাকে কিন্তু পুরুষদের ক্ষেত্রে ব্যাতিক্রম পুরুষ দের যৌন ক্ষমতা আরো দেরি করে হ্রাস পায় ,এই ক্ষেত্রে স্ত্রী কে সাথে না পাওয়ায় নানান ঝামেলা হতে পারে। কারণ পুরুষদের একটু বয়স হলে খিট খিটে মেজাজ হয়ে যায়। Instagram- Follow : shikhore100

আরো পড়ুন: লাভ ম্যারেজ vs অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ সব রকম সুবিধা ও অসুবিধা।

2 thoughts on “সমবয়সী বিয়ের সুবিধা ও অসুবিধা।- same age marriage problem in bengali .”

Leave a Comment