রাগ কমানের সহজ উপায় রাগ বিষয় টা কারোর অজানা নয় প্রত্যেক মানুষের পরিচিত। প্রত্যেক মানুষের একটা খারাপ দিক হলো রাগ , অনেকে রাগের বসে নানান জঘন্য অপরাধ করে থাকে। তাই সময় থাকতে যদি আপনি আপনার রাগ কে নিজের অধীনে না রাখতে পারেন তবে রাগ আপনাকে তার অধীনে করে যে কোনো অঘটন ঘটাতে পারে। রাগ কখনোই আপনাকে ভালো কাজ ও ভালো সিদ্ধান্ত নিতে দিতে পারেনা। এবং রাগ আপনাকে আপনার প্রিয়জনের কাছেও খারাপ করে তোলে যার ফলে আপনি মন থেকে ভালো ব্যাক্তি হলেও সেই ভালো দিক কারোর চোখে পড়েনা। তাই এই রাগ বিষয় টাকে অবশই আমাদের ত্যাগ করা উচিত তবেই আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ও প্রিয়জনের কাছে ভালো হতে পারবো।
তবে দেখা যাক রাগ কমানোর কিছু উপায়।
* যখনি কোনো কারণে করো ওপরে রেগে যাবেন ,তখনই চেষ্টা করুন সেই জায়গা থেকে সরে যাওয়ার। যদি সেই জায়গা থেকে সরে যেতে যদি কোনো সমস্যা থাকে তবে যতটা সম্ভব কথা কম বলুন। এতে করে আপনার মনের নীতিবাচক দিক গুলি সামনে আস্তে পারে যা আপনাকে যে কারোর কাছে ছোট করতে পারে। তাই সামান্য রাগের কারণে নিজের মান হারানো কখনোই ঠিক নয়,এই বিষয় টা মাথায় রাখুন। লেখক , চিত্রশিল্পী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন বলেন, ‘রাগে যা শুরু হয় তা লজ্জায় শেষ হয়।’
* অনেক সময় এমন টা হয় যে আপনি চুপ করে থাকলেও আপনার বিপরীতে যে মানুষ তা থাকে সে চুপ না করে আপনাকে আরো নানান দোষের কথা শোনাচ্ছে ওই সময়ে নিজের রাগ ধরে রাখা খুব কষ্টকর হয়ে ওঠে তখন আপনি চাইলে ওই কোথায় কান না দিয়ে চোখ বন্ধ করে নিজের কোনো ভালো মুহূর্তের কথা চিন্তা করুন। এতে করে আপনার রাগ কখনোই ভারী হয়ে উঠবে না।
* এমন ও হতে পারে আপনি কারোর ওপরে কোনো কারণে রেগে আছেন কিন্তু প্রকাশ করতে পারছেন না ,বার বার তার প্রতি দুশ্চিন্তা করছেন এমন সময় আপনাকে ওই কথা না ভেবে নিজের কোনো পছন্দের কাজ করতে পারেন , আপনার ভালো লাগার গান শুনতে পারেন যা আপনার মন কে শান্তি অনুভব করতে সাহায্য করবে
* অনেক মানুষ আছেন যারা ছোট খাটো সব কথায় রেগে যান বেশির ভাগ বয়স্ক মানুষের এই সমস্যা হয়ে ওঠে। তাদের জন্য যা করণীয় তা হলো নিজের বিশ্বাসী ঈস্বর কে বার বার স্মরণ করতে পারেন না হলে ১-১০০ পযন্ত উল্টো ভাবে গুনতে পারেন। ফলের এই বিচিত্র কাজে নিজের ব্রেন ব্যাস্ত হয়ে গেলে রাগ কমে যাবে।
এই হলো কিছু সাধারণ করণীয় যা প্রত্যেক ব্যাক্তি নিজের ক্ষনিকের রাগ কে কম করতে পারেন।
অনেক ব্যাক্তি যারা নিজের জীবন কে আরো সুন্দর করে দেখতে চান নিজের রাগী স্বভাব কে বদলতে চান চিরতর। তাদের জন্য কিছু করণীয় আছে যা করলে ধীরে ধীরে রাগ কে নিজের অধীনে আনা যেতে পারে ।
কিভাবে রাগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়?। রাগ কমানের সহজ উপায়।
ধ্যান : যদি আপনি আপনার রাগ কে ধীরে ধীরে ত্যাগ করতে চান তবে ধ্যান আপনার জন্য সবথেকে ভালো অপশন হতে পারে। ধ্যান বা মেডিটেশন আপনার মনের মধ্যে যত রকম নীতিবাচক ভাবনা আছে সব কিছুই নষ্ট করে দেয়। তার মধ্যে রাগ কেও , যদি আপনি নিয়মিত কিছু সময় ধরে রোজ ধ্যান করেন তবে আপনার ব্যাক্তিত্ব আরো মজবুত হবে। আপনি আপনার মন ও সব ইন্দ্র কে কন্ট্রোল করতে পারবেন। রাগ কমানের সহজ উপায় এর মধ্যে সর্বোচ উপায়
যোগাসন : যোগাসন আর ধ্যান এক নয় ধ্যান আপনার মন কে এক জায়গায় স্থির করতে সাহায্য করে, যোগা আসন আপনাকে আপনার শরীর কে সুস্থ রাখতে গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই অনেক প্রকার যোগ আসন আছে যেগুলো নিয়মিত করতে পারলে শারীরিক ও মানসিক ভাবে আপনাকে সুস্থ রাখতে সহজ করবে। শরীর ও মন সুস্থ থাকলে মানুষ খুশ মেজাজী হয়ে ওঠে সহজে রাগ আসে না।
বদঅভ্যাস ট্যাগ করুন : মানুষ অভ্যাস এর দাস তাই দিন জীবনে মানুষ অনেক রকম বদঅভ্যাস ও নেশার দিকে অগ্রসর হয়ে পড়ে । যেমন ধূমপান, মদপানের অভ্যাস আরো বিভিন্ন নেশা যেগুলো সময় মতো না পেলে বা কোনো কারণ বসত ওই অভ্যাস এর থেকে একটু দূরে গেলে মাইন্ড কে কন্ট্রোল করা মুশকিল হয়ে ওঠে তাই কোনো না কোনো ভাবে রাগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই অবশই বদঅভ্যাস ও নেশার থেকে দূরে থাকতে হবে তবেই রাগ কমানো সম্ভব।
প্রত্যেকটা জীবন মূলবান তার থেকে মূলবান হলো সময়। আর এই স্বল্প জীবনে রাগ, আড়ি, করে কত দিন আর বাঁচা যাবে। জীবনে যতটা সময় কারো জন্য রাগ করে কাটাবেন ততটাই সময় কারো সাথে হেসে খেলে কাটান, তাতে আপনি না থাকাতে মানুষ আপনার হাসি মুখের কথা ভেবে আপনাকে মিস করবে ,সময় কে ভালো কাজে লাগিয়ে জীবন উপভোগ করুন। মনে রাখবেন জন্মের পর জীবনের প্রত্যেক তা সেকেন্ড আপনার জীবন থেকে কমে যাচ্ছে ও মৃত্যু কাছে আসছে। তাই আপনার জীবনের প্রত্যেক তা মুহূর্ত শুধু আপনার সেখানে কারো ওপরে রাগ করে নিজের আমূল সময় কে নষ্ট না করে নিজের জীবন কে উজাড় করে ইসর এর উপহার দেওয়া এই প্রকৃতি কে ও প্রকৃতির প্রত্যেক জীব কে ভালোবাসুন।
আরো পড়ুন :- লাভ ম্যারেজ vs অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ সব রকম সুবিধা ও অসুবিধা।
2 thoughts on “রাগ কমানের সহজ উপায়,৫ মিনিটে।”