Home Method Pregnancy Test in Bengali: প্রেগনেন্সি টেস্ট করার ঘরোয়া উপায়। জেনেনিন 100% কার্যকরী উপায়।

অনেক সময় পিরিয়ড মিস হয়ে গেলে প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট এনে পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করা হয় না এবং সাথে সাথে আপনার গর্ভাবস্থার খবর নিয়ে আপনি উদ্বিগ্ন হন। এমন পরিস্থিতিতে, গর্ভাবস্থা পরীক্ষার ঘরোয়া পদ্ধতিগুলি আপনার জন্য দরকারী। আপনি যদি বাজারে গিয়ে প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে না পারেন। বা যদি আপনি এটি কাউকে জানাতে না চান তাহলে আপনি বাড়িতে উপলব্ধ কিছু জিনিস দিয়ে আপনার গর্ভাবস্থা আপনি নিজেই জানতে পারবেন।

প্রেগনেন্সি টেস্ট করার ঘরোয়া উপায়
প্রেগনেন্সি টেস্ট করার ঘরোয়া উপায়

অনেক সময় মহিলারা মনে করেন যে তারা গর্ভবতী তবে তাদের এটি নিশ্চিত করতে হবে। আজকে বাজারে এমন কিছু জিনিস পাওয়া যায় যার দ্বারা গর্ভাবস্থা নিজে থেকেই পরীক্ষা করা যায়, তবে ঘরোয়া প্রতিকারগুলিও এটি জানতে সাহায্য করতে পারে। এখানে আমরা আপনাকে এমন কিছু ঘরোয়া প্রতিকার বলব, যেগুলো অবলম্বন করে আপনি ঘরে বসেই জানতে পারবেন আপনি গর্ভবতী কি না।প্রথমে জানুন :

প্রেগনেন্সি টেস্ট কি ( What is pregnancy test in bengali )

প্রেগনেন্সি টেস্ট এক প্রক্রিয়া যেটির সাহায্যে একজন মহিলা জানতে পারে যে সে মা হতে চলেছে কিনা। সহবাস করার পরে সময় মতো পিরিয়ড না হলে মেয়েদের মনে প্রশ্ন আসে যে সে গর্ভবতী হয়ে গেছে হয়তো। গর্ভবতী হওয়ার খবরটি অনেক মায়ের কাছে একটি খুশিতে ভরা আনন্দের মুহূর্তের হলেও ,অনেক মায়ের কাছে এটি ভীষণ টেনশন ও ভয়ের কারণ হতে পারে। খাসকরে সেই সব মায়ের যারা ওই সময়ে মা হওয়ার জন্য প্রস্তুত নয়। সেটির নানান কারণ থাকতে পারে। তাই ঘরোয়া উপায়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করার সাহায্যে মেয়েরা জানতে পারে যে সে গর্ভবতী হয়েছে কি হয়নি।

কোন সময়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করা উচিত ? ( The Right time to test Pregnancy in Bengali )

সেক্স করার পর পুরুষের স্প্রাম গর্ভাশয়ে ডিম্বাশয়ের সাথে মিলে ভ্রূণ তৈরী করে গর্ভাবস্তার সূচনা করে দেয়। এই প্রক্রিয়া টি শেষ হতে ৪-৫ দিন সময় লাগে। এই প্রক্রিয়াটি শেষ হতেই একজন মেয়ে গর্ভবতী হয়ে যায়। গর্ভধারণ হওয়ার পরে শরীরে নানান হরমোন পরিবর্তন হতে শুরু করে দেয়। ও পিরিয়ড হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। তাই নিধারিত সময়ে পিরিওড না হলে পিরিয়ডের দিন থেকে ১০ – ১৫ পর পরীক্ষা করলে সঠিক রেজাল্ট পাওয়া যেতে পারে।

বাড়িতে প্রেগনেন্সি টেস্ট করার উপায়। ( Pregnancy Test at Home in Bengali )

পস্রাব দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট
প্রথম ধাপে প্রেগনেন্সি পরীক্ষা করতে প্রধান উপাদান হলো পস্রাব। আপনি যেকোনো ভাবেই পরীক্ষা করুন প্রথম ধাপে পস্রাব দিয়ে টেস্ট করলে সঠিক রেজাল্ট পাওয়া যাবে। তার জন্য আপনাকে সকালের পস্রাব সংগ্রহ করে একটি কাঁচের গ্লাসে রেখে ঢেকে দিন। একদিন পর যদি এই পস্রাবের ওপরে কোনো পাতলা আস্তরণ পড়ে তবে হতে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে যদি আপনি প্রেগনেন্সি কীট এনে পরীক্ষা করেন তবে ১ ঘন্টার মধ্যে রেজাল্ট পেতে পারেন। তবে আজকের আলোচনার বিষয় হলো প্রেগনেন্সি টেস্ট করার ঘরোয়া উপায়। যেখানে প্রেগনেনসি কিট ছাড়াই পরীক্ষা করা সম্ভব।

1- ভিনেগার: ভিনেগারে প্রস্রাব মিশিয়ে এই পরীক্ষা করা হয়। ভিনেগারে প্রস্রাব যোগ করার পরে যদি রঙের পরিবর্তন হয় তবে আপনি গর্ভবতী হতে পারেন।

2- লবন : লবন প্রতিটা বাড়িতে থাকে। প্রেগনেন্সি টেস্ট অনেক সস্তা ও অনেক কম সময়ে করা যায় লবন দিয়ে। এর জন্য একটি পাত্রে ইউরিন নিয়ে অল্প লবন দিয়েদিন চার পাঁচ মিনিটের জন্য রেখে দিন। যদি ওই সময়ের মধ্যে ওই পাত্রের ওপরে ক্রিমের মতো সাদা আস্তরণ পরে তবে প্রেগনেন্সি কনফার্ম।

3- ব্লিচ ব্যবহার: একটি পাত্রে কিছু ব্লিচ নিয়ে তাতে প্রস্রাব যোগ করুন। এর পরে, যদি এতে বুদবুদ দেখা দেয় তবে এটি আপনার গর্ভাবস্থার লক্ষণ হতে পারে।

4- চিনি দিয়ে পরীক্ষা: চিনি ব্যবহার করেও গর্ভধারণ শনাক্ত করা যায়। এটি দিয়ে পরীক্ষা করার জন্য একটি কাঁচের পাত্রে সকালের পস্রাব নিয়েনিন ও কিছুটা চিনি এরমধ্যে ঢেলে দিন এবং লক্ষ করুন যে চিনি গুলি পস্রাব এর সঙ্গে মিলিয়ে যাচ্ছে নাকি একসাথে লেগে আছে। একসাথে লেগে থাকলে গর্ভাবস্থার লক্ষণ দেখা দিতে পারে। যদি চিনি মিলে যায় তবে আপনি গর্ভবতী নন।

চিনি দিয়ে প্রেগন্যান্সি টেস্ট।
চিনি দিয়ে প্রেগন্যান্সি টেস্ট।

5- সাবান পরীক্ষা: সাবান দিয়েও প্রেগনেন্সি টেস্ট করা সম্ভব ,এর জন্য কাছের গ্লাসে করে সকালের ইউরিন সংগ্রহ করুন এর ওপরে অল্প খারা সাবান দিয়ে দিন ,কিছুক্ষন পরে লক্ষ করুন যদি ইউরিন এর ওপরে সাদা বুদ্বুদ তৈরি হয় তবে হতে পারে আপনি গর্ভবতী।

6- ডেটল টেস্ট: ডেটল পরীক্ষা করতে, একটি কাঁচের পাত্রে সমান পরিমাণে প্রস্রাব এবং ডেটল মিশিয়ে নিন। যদি ডেটল এবং প্রস্রাব দ্রবীভূত হয় তবে আপনি গর্ভবতী নন তবে যদি প্রস্রাব উপরে একটি স্তর তৈরি করে এবং ভাসতে শুরু করে তবে আপনি গর্ভবতী হতে পারেন।

7- টুথপেস্ট টেস্ট: আপনি সাদা টুথপেস্টে প্রস্রাবের নমুনা মিশিয়ে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে পারেন। যদি টুথপেস্টের রং নীল হয়ে যায় তাহলে তা গর্ভাবস্থার লক্ষণ।

বাড়িতে প্রেগনেন্সি টেস্ট করার সময় জেনে রাখুন কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা

  • যেই মাসে পিরিয়ডে মিস হবে ,বমি ভাব ,পিঠের বেথা, অলস ভাব, হতে শুরু করে এই সময়েও আপনি বাড়িতে প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে পারেন
  • প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে হলে সব সময় সকালের প্রথম ইউরিন দিয়ে টেস্ট করা উচিত। এতে রেজাল্ট পরিষ্কার ও সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে
  • একটি কথা মনে রাখবেন টেস্ট করার তিন ঘন্টা আগে পর্যন্ত আপনি টয়লেট ( bathroom ) এ যাননি।
  • টেস্ট করার জন্য স্যাম্পেল ইউরিন সংগ্রহ করার সময় বেশি করে সংগ্রহ করুন যেন কম না পড়ে ( ঘরোয়া উপায়ে টেস্ট করতে হলে একটু বেশী ইউরিন লাগে)
  • ইউরিন এর মধ্যে নামক একটি হরমোন থাকে যা প্রেগনেন্সির রেজাল্ট দেয়।
  • প্রেগনেন্সি টেস্ট করার জন্য ব্যাবহারিত প্রত্যেক জিনিসের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন।
  • ঘরোয়া উপায়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করলে রেজাল্ট আস্তে তুলনা মূলক ভাবে বেশি সময় লাগে ,তাই ধর্য্য ধরুন ও রেজাল্ট এর জন্য অপেক্ষা করুন।
  • যদি প্রেগনেন্সি টেস্ট করার পর নেগেটিভ রেজাল্ট আসে, তার পরেও আপনার মনে সন্দেহ থেকে থাকে তবে আবার ৭২ ঘন্টা পরে টেস্ট করতে পারেন।
  • পিরিয়ড মিস হওয়ার বার বার টেস্ট করার পর নেগেটিভ রেজাল্ট আসলে তাড়াতাড়ি গাইনোকোলজিস্ট এর কাছে গিয়ে নিজের সমস্যা শেয়ার করতে পারেন।
  • প্রেগনেন্সি টেস্ট করার পর রেজাল্ট পজেটিভ আসলে অবশই ডক্টরের সঙ্গে পরামর্শ নিন।

ঘরোয়া উপায়ে প্রেগনেসি টেস্ট করা কতটা সঠিক ?

ঘরোয়া উপায়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করলে সবসময় সঠিক রেজাল্ট আসতে নাও পারে। প্রত্যেকটি উপায় মেনেও যদি রেজাল্ট নেগেটিভ আসে কিন্তু তবুও মনে ভয় ও শঙ্কা থেকে থাকে তবে অবশ্যই। ডক্টরের কাছে গিয়ে টেস্ট করা উচিত।

আরো পড়ুন : মা হওয়ার সঠিক বয়স কত ?

পিরিয়ডের কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়

পিরিয়ড মিস হওয়ার পর ৭-৮ পর টেস্ট করলে রেজাল্ট পাওয়া যায়। তবে ১৫ দিন পর টেস্ট করলে একেবারে সফল রেজাল্ট পাওয়া যায়।
আরো পড়ুন : মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়।

মিলনের কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়

প্রেগনেন্সি টেস্ট মিলনের দিন থেকে ধরা হয়না। কিন্তু পিরিয়ড মিস হলে ৭-৮ দিন পর টেস্ট করে নিজের গর্ভাবস্তা জানতে পারেন।

প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিভাবে করে

প্রেগনেন্সি টেস্ট মূলত পস্রাবের দ্বারা করা হয়। সকালের প্রথম ইউরিন সংগ্রহ করে নিয়ে ওপরের দেওয়া যেকোনো একটি উপায় দ্বারা পরীক্ষা করলে প্রেগনেন্সি বোঝা যায়। তবে প্রেগনেন্সি কীট দ্বারা টেস্ট করলেও কীটের ওপরে দুই ফোটা উইরিন ফেলে দিন ও ১০ মিনিট পর লক্ষ করুন। যদি দুটি লাল দাগ ওঠে তবে প্রেগনেন্সি কনফার্ম। যদি একটি লাল দাগ ওঠে তবে প্রেগনেন্সি নেই।

লবন দিয়ে প্রেগন্যান্সি টেস্ট কি সম্ভব।

হ্যাঁ লবন দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করা যায়। সকালের ইউরিনের ওপরে লবন দেওয়ার পর যদি ক্রিমের মতো আস্তরণ পড়ে তবে প্রেগনেন্সি কনফার্ম

Leave a Comment