আপনি কি আপনার পেটের চারপাশে জমে থাকা চর্বি পোড়াতে চান? এখানে কিভাবে বাড়িতে একটি কোমর পাতলা করার উপায় কিছু দেওয়া আছে ,মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে জেদী চর্বি জমা স্পট হল কোমর, তার পরে পেট বা পেট। খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাত্রা বা ব্যায়ামের ক্ষেত্রে সামান্যতম অবহেলা এই এলাকার চারপাশে ইঞ্চি ইঞ্চি দেখাতে শুরু করে। বাড়ি থেকে কাজ করা এবং বসে থাকার বর্ধিত সময়কাল অনেক লোকের কোমরের চারপাশে আরও চর্বি তৈরি করেছে এবং এটি হ্রাস করা যে কোনও ব্যক্তির ওজন-হ্রাসের যাত্রায় সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে একটি। আপনি যতই ওজন কমান না কেন, একগুঁয়ে পেটের চর্বি দূর হতে অনেক সময় লাগে। আসুন আমরা কীভাবে পাতলা কোমর পেতে পারি তার 5 টি টিপস দেখি
![কোমর পাতলা করার উপায়](https://shikhore.com/wp-content/uploads/2023/03/কোমর-পাতলা-করার-উপায়-খাবার-ও-ব্যায়াম-এর-দ্বারা.png)
আমরা এক জায়গায় বসে বা আমাদের প্রিয় কাজ ও ভিডিও দেখার সময় কাজে যে পরিমাণ সময় ব্যয় করি তা আমাদের শরীরে খুব ভারী হতে পারে। এটি প্রাথমিকভাবে আমাদের পেট এবং কোমরের চর্বিকে প্রভাবিত করে, যা ক্রমাগত বাড়ছে।
এমন পরিস্থিতিতে, আপনিও যদি আপনার কোমর স্লিম করতে চান এবং আপনি সবকিছু চেষ্টা করে থাকেন তবে অবশ্যই এই 5 টি উপায় চেষ্টা করুন।
এখানে 5 টি কোমর পাতলা করার উপায় রয়েছে,
যা আপনাকে একগুঁয়ে চর্বি পোড়াতে এবং একটি পাতলা কোমর পেতে সহায়তা করতে পারে:
1. একটি স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট
স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট দিয়ে আপনার দিন শুরু করুন। একটি স্বাস্থ্যকর, সুষম নাস্তা দিয়ে দিন শুরু করা ওজন কমানোর এবং আপনার কোমরকে পাতলা করার সর্বোত্তম উপায়। একটি ভাল ব্রেকফাস্ট আপনার বিপাককে বাড়িয়ে তোলে, তাই আপনি সারাদিনে আরও বেশি ক্যালোরি পোড়াতে পারেন।
আসলে, এটি আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণ রাখে। এছাড়াও, এটি সকালে এবং বিকেলে নাস্তা করার প্রবণতাকে কমিয়ে দেয়, যা আপনার আরও ক্যালোরি পোড়ানোর সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
2. জাঙ্ক এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন
ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন কারণ এতে ক্যালোরি বেশি থাকে। এটা আপনার স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো নয়। এর কারণ হল ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবারগুলিতে সাধারণত উচ্চ চিনি এবং স্টার্চের পরিমাণ থাকে, যা ওজন কম করতে বাধা দেয় এবং ক্ষতিকারক টক্সিন তৈরি করে। এর মধ্যে রয়েছে বাজারের স্ন্যাকস, বিস্কুট, চিপস, নুডলস এবং জাঙ্ক বা ফাস্ট ফুড। এগুলির অভ্যাস যদি থেকে থাকে তবে এই অভ্যাস অতি শীঘ্রই ছেড়ে ফেলতে হবে।
3. প্রচুর ব্যায়াম করুন
যখন ওজন কমানো এবং পেটের চর্বি থেকে মুক্তি পাওয়ার কথা আসে, তখন এটি চ্যালেঞ্জিং হতে পারে কারণ আসীন জীবনযাত্রার কারণে প্রত্যেকের পেটে ওজন বেড়ে যায়। সুতরাং, সামগ্রিক ওজন হ্রাস একমাত্র বিকল্প। এমন পরিস্থিতিতে কার্ডিওভাসকুলার ব্যায়াম হল ক্যালোরি বার্ন করার সবচেয়ে কার্যকরী উপায়। আপনার রুটিনে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা নিশ্চিত করুন।
![কোমর পাতলা করার উপায়!](https://shikhore.com/wp-content/uploads/2023/02/Pelvic-floor-article-hero-2100x1200__1_-1024x585.webp)
4. খাবার নিয়ন্ত্রণ
নিজের খাবারের রুটিন টি চেঞ্জ করুন যদি আপনি দিনে ৩-৪ বার পেট ভোরে খাবার খান তাহলে এরকম টি না করে খাবার খাওয়ার সময় বাড়িয়ে ৫-৬ বার করে নিন তবে খাবারের পরিমান টি সামান্য করুন মানে – বার বার খান কিন্তু অল্প অল্প খান। এতে করে খাবার তাড়াতড়ি হজম হয়ে যাবে শরীরে ক্যালোরির মাত্রা বাড়ে যাবে না ফলে চর্বি বাড়ার মাত্রা ধীরে ধীর কমে যাবে। তবে চর্বি জাতীয় খাবার এর মান কমিয়ে দিয়ে ফাইবার জাতীয় খাবারের দিকে বেশি মনোযোগ দিতে হবে।
5. বেশি করে জল পান করুন
আপনি যখন উপরের লেখা কোমর পাতলা করার উপায় গুলি অনুসরণ করবেন তখন আপনাকে অতিরিক্ত তরল পান করতে হবে। তার কারণ আপনি বেশি করে জল পান করলে ও ব্যায়াম করলে আপনার শরীর থেকে বেশি করে ঘাম নিঃসৃত হবে ওই ঘামের মধ্যে দিয়ে আপনার শরীরের চর্বি গুলি ধীরে কমতে থাকবে। আপনি চাইলে জল এর পরিবর্তে কিছু পরিমান লেবুর জুস্ বা আনারসের জুস্ ইত্যাদি যোগ করতে পারেন।
আরো পড়ুন: পেটের মেদ কমানোর প্রাকৃতিক ঘরোয়া 8টি উপায়।
6. বেশি করে হাঁটুন
কোমর পাতলা করার জন্য সবথেকে ভালো উপায় হলো বেশি করে হাঁটুন। নিয়মিত হাঁটলে কোমরের আসে পাশের চর্বি গুলি গলতে থাকে ও কোমরের পেশি গুলি মজবুত হতে থাকে তাই হাঁটার জন্য একটা নিয়মিত রুটিন তৈরী করুন রাত্রে খাবার পর ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা হাঁটুন ও সকালে মর্নিংওয়ার্ক অত্যান্ত জরুরি
আরো পড়ুন: ঘরে বসে দ্রুত ওজন কমানোর জন্য 6টি সেরা ব্যায়াম।
শেষ কথা
কোমর পাতলা করার উপায় গুলির মধ্যে উপরের যতগুলি উপায় বলা হয়েছে কোমর পাতলা করার জন্য তার প্রত্যেকটি কার্য করি। আপনি যদি নিয়মিত ভাবে এই নিয়ম গুলি পালন করেন তবে ধীরে ধীরে পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন। তবে এগুলির কোনোটিই অল্পসময়ে এর জন্য কার্য করি নয় মনে ধর্য্য রেখে নিয়মিত চালিয়ে যেতে হবে পরিবর্তন লক্ষ করার পর যদি আপনি এগুলি করা ছেড়ে দেন তবে কিছু সময় পরে অপনি আবার একই সমস্যায় ভুগতে পারেন।
তাই যেই অভ্যাস গুলির কারণে আপনি এই সমস্যায় ভুগছেন সেই অভ্যাস গুলি ছেড়ে দিয়ে নিজেকে একটি নতুন অভ্যাস এর মধ্যে দিয়ে নিয়ে যান যেটি আপনার ভবিষতের জন্য ভালো ,তাই সবার আগে নিজের অভ্যাস পরিবর্তন করুন ও নিজেকে এক নতুন ভাবে গড়ুন। নিজেকে যেমন ভাবে দেখতে চান।
nice