মা হওয়ার সঠিক বয়স কত ? বয়স ১৮-কম হলে হতে পারে প্রাণ হানি।

প্রত্যেক দম্পতির বিয়ের পর একটাই বড়ো ভাবনা তা হলো সন্তান কে নিয়ে। প্রত্যেক এর নানান ভাবনা, আশা,আকাঙ্খা, জড়িয়ে থাকে। কিন্তু সন্তান নেওয়া নিয়ে নানা বিষয় জানা বা বোঝার আছে। মায়ের কোলে সন্তান আসা এটি একটি জীবনের বড়ো খুশির বিষয় হলেও প্রত্যেক মা বাবা এটি নিয়ে বেশ চিন্তিত বোধ করে। সেই চিন্তার মধ্যে বয়স নিয়ে একটা সমস্যা থেকেই থাকে, মা হওয়ার সঠিক বয়স কত? এখানে এই বিষয়েই আলোচনা করা হয়েছে ,সন্তান জন্ম দেওয়ার বয়স নিয়ে নানান প্রশ্নের উত্তর জানতে পোস্ট টি সম্পূর্ণ পড়ুন।

মা হওয়ার সঠিক বয়স কত
মা হওয়ার সঠিক বয়স কত?

বয়সের ক্ষেত্রে মেয়েদের দিক থেকে একটু বেশি সমস্যা দেখা দেয়। নিম্নতম বয়স দেখলে মেয়েদের ১৮ বছরের কম বয়সে যাদের বিয়ে হয়ে যায় ১৯-২০ বছরের মধ্যে সন্তান কোলে চলে আসে তাদের ক্ষেত্রেও সমস্যা থাকে। ২০ বছরের নিচে সন্তান নেওয়া মেয়েদের পক্ষে ঝুঁকি হতে পারে। কারণ এই বয়সে মেয়েদের শরীর বিকাশের উর্তীন্ন সময়। ও সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য যে সমস্ত হরমোন এর প্রয়োজন সেগুলি শরীরের মধ্যে সম্পূর্ণ ভাবে বিকাশ হয়না ,এটি হতে আরো ২-৩ বছর সময় লাগে। তাই মায়ের বয়স ২০ বছরের বয়স সীমার নিচে হলে সন্তান অপুষ্টি জনিত সমস্যায় ভুগতে পারে।

মা হওয়ার সঠিক বয়স কত ?

ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী মেয়েদের মা হওয়ার উপযুক্ত সময় সীমা হলো ২৩- ২৫ বছর। এই বয়স মেয়েদের শরীর সন্তান নেওয়ার জন্য সঠিক ভাবে প্রস্তুতি নিতে সক্ষম হয়। সন্তান জন্ম দেওয়ার সমস্ত রকমের হরমোনের লেভেল ও ঠিক হয়ে ওঠে।

মা হওয়ার জন্য ১৬-২০ বছর বয়স।
এই বয়স মেয়েদের শারীরিক বিকাশের সময়। প্রত্যেক মেয়ে এই সময় টি শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে জীবন শুরু করে। ভবিষ্যতে একজন ভালো ও সুস্থ মা হতে গেলে এই বয়সটি মা হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। শিশু গর্ভধারণ থেকে জন্ম দেওয়া পর্যন্ত যেসকল প্রক্রিয়া গুলি একজন মায়ের শরীরের মধ্যে ঘটে তা সবকিছু এই বয়সে মেয়েদের সহ্য করা কঠিন হয়ে ওঠে। এমনকি প্রাণের ঝুঁকি বেড়ে যায় আমাদের দেশে প্রতি বছর প্রায় ১৫ হাজারেরও বেশি মেয়ে শিশু জন্ম দেওয়ার সময় মারা যায়। যার একটি কারণ হলো বয়স কম ,ও দুর্বলতা।

২৩-২৬ বয়সে প্রথম সন্তান নেওয়ার জন্য সবথেকে ভালো। মা হওয়ার সঠিক বয়স ।
এই সময়ে মেয়ের যৌবন কালের মধ্য ভাগ আসে। ধর্যশক্তি বেশি থাকে ও শিশু পালনের জন্য মাতৃত্ব বেশ ভালোই জেগে ওঠে। এই সময়ে শারিরীক বিকাশ সম্পূর্ণ হয়ে যায় তাই সন্তান পুষ্টিকর ও স্বাস্থবান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। উর্তীন্ন বয়স হওয়ার কারণে শরীরের ইউমিনিটি সিস্টেম বেশ ভালো থাকে। সন্তান জন্ম দেওয়ার সময়ে মায়ের শরীরে বিশেষ কোনো খারাপ প্রভাব পড়ে না। ৩-৪ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সন্তানের জন্য শরীর তৈরী হয়ে ওঠে।

মা হওয়ার সঠিক বয়স।
মা হওয়ার সঠিক বয়স। ২৩-২৬ বয়সে প্রথম সন্তান

সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য ২৭-৩০ বছর বয়স। মা হওয়ার সঠিক বয়স ।
ডাক্তারের মত অনুযায়ী এই বয়সে সন্তান নেওয়ার জন্য একটু দেরি হলেও সময় টা থাকে। যদি একটির বেশি সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা থাকে তবে এটি ঝুঁকি সম্পূর্ণ হতে পারে কারণ এক সন্তানের পর আরেক সন্তানের বয়সের মধ্যে ৩-৪ বছরের দূরত্ব থাকাটা ভালো। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় সন্তান জন্ম দেওয়ার বয়স তা ৩০ এর উপরে চলে আসে এটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।

সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য ৩০ -৩৫ বছর বয়স।

সাধারণত ডাক্তার এর মতে ৩০ এর পরে সন্তান না নেওয়া উচিত , এর কারণ হলো মেয়েদের বার্ধকতা তাড়াতাড়ি চলে আসে তাই ৩০ এর পরে মহিলাদের শরীর এর অবস্থা পরিবর্তন হতে লক্ষ করে যায়। সন্তান ধারণ ও জন্ম দেওয়ার জন্য যে সকল হরমোন শরীরের মধ্যে কাজ করে তাদের মধ্যে দুর্বলতা চলে আসে। ও গর্ভ ধরণের সম্ভাবনা কমতে থাকে। তাছাড়াও শরীরের গঠন পরিবর্তন শুরু হওয়ার কারনে বিভিন্ন রোগ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যেগুলো সন্তানকেও আক্রমণ করতে পারে বলে ডক্টরের দাবি ( ডায়বেটিস ,হাইপারটেনশন ) ইত্যাদি।

৩৫ বছর বয়সে সন্তান নিলে সন্তান এর ওপরে কি প্রভাব পড়তে পারে।
এই বয়সে সন্তান গর্ভে আসার সম্ভাবনা কমে যায়, ও গর্ভপাতের সম্ভাবনা বেশি থাকে। এবং এই সময়টি মায়ের বয়সের মধ্য ভাগ চলে, তাই বিভিন্ন টেনশন ও ট্রেস কারণে বাচ্চার মস্তিস্ক এর ওপরেও প্রভাব পড়তে পারে, বচ্চা কম বুদ্ধি সম্পন্ন হয়। তাছাড়াও অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে শিশু জন্ম থেকেই এবনর্মাল হয়ে পরে তবে এর চান্স অনেক কম থাকে।

আরো পড়ুন : মা এবং ছেলের মধ্যে কেমন সম্পর্ক হওয়া উচিত?

৩৫ বছর বয়সে সন্তান নিলে মায়ের ওপরে কি প্রভাব পরে।
সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় মায়ের শরীরে সব থেকে বেশি প্রভাব পরে। অনেক রকম শারীরিক পরিবর্তন ঘটতে থাকে শিশু গর্ভ ধারণ থেকে জন্ম দেওয়া পর্যন্ত নানান ক্রিয়া ঘটে মায়ের শরীরের মধ্যে তাই এই সকল শারীরিক ক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার জন্য শরীর ফিট থাকা প্রয়োজন। ও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা / ইউমিনিটি সিস্টেম ভালো থাকা উচিত। কিন্তু বয়স বেশি থাকার কারণে ইউমিনিটি সিস্টেম দুর্বল হয়ে পড়ে ,ফলে নানা রোগে পড়তে পারে। যেমন : ডায়বেটিস, হাই ব্লাডপ্রেসার, হেডেক, বাতের সমস্যা, কষ্ট কাঠিন্য, ইত্যাদি হতে পারে। যেগুলির সমস্যায় বাচ্চার মধ্যে দেখা যেতে পারে।

উপযুক্ত সময়
সন্তান প্রত্যেকেরই ভবিষতে উদেশ্য। তাই সময় থাকা কালীন সন্তান কামনা করা ভালো ,অনেকে নিজের ক্যারিয়ার কথা চিন্তা করে সন্তান নিতে দেরি করে ,তবে একটি নিদিষ্ট সময় পযন্ত অপেক্ষা করাই ভালো হাতে সময় রেখে। তবে মোটেই ৩০ বছেরের উর্ধে নয় ২২-২৭ বয়স সীমার মধ্যে সন্তান ভালো। অনেকে গর্ভ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিভিন্ন পিল ট্যাবলেট করে তবে দীর্ঘদিন পর্যন্ত এই পিল ব্যবহার করলে গর্ভাশয়ে একটি আস্তর পড়ে যায় তাই পরে এই ট্যাবলেট ব্যবহার বন্ধ করলেও সন্তান ধারণে সমস্যা দেখা দেয় যদি সমস্যা থাকে অবশই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তবে কন্ডোমস ব্যবহার করলে এই রকম কোনো সমস্যায় পড়তে হয়না।

আরো পড়ুন : প্রেগনেন্সি টেস্ট করার ঘরোয়া উপায়।

আরো পড়ুন : দীর্ঘদিন শারীরিক সম্পর্ক না করলে কী হয়?

1 thought on “মা হওয়ার সঠিক বয়স কত ? বয়স ১৮-কম হলে হতে পারে প্রাণ হানি।”

Leave a Comment